শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ডয়চে ভেলেকে বলেন, 

ঈশ্বরদীতে দোকান ও বসতবাড়িতে হামলা; থানায় অভিযোগ, 

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

নিজস্ব সংবাদদাতা:

পাবনার ঈশ্বরদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুয়েল রানা পিতা রাজ্জাক আলী শেখের দোকান ভাঙচুর ও বসতরাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার (১৫ মার্চ) ঈশ্বরদী শহর এলাকার ফতেমোহাম্মদপুরে জুয়েল রানার বড় ভাই জনি শেখের দোকান ভাংচুর ও বাড়িতে গিয়ে এই হামলা করে। এই ঘটনায় জুয়েল রানার বড় ভাই জনি আলী শেখ বাদি হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।

অভিযোগে জনি বলেন, আমার ছোট ভাই মোঃ জুয়েল রানা (২৮), এর সাথে ঝগড়া বিষয়কে কেন্দ্রে করে ১৫/০৩/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক সময় সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় বিবাদী নং ০১। মোঃ সম্রাট (৩৫), পিতা- মোঃ ছানোয়ার, বিবাদী নং ০২। মোঃ খোকন (৩৪), পিতা- মোঃ সামাদ, বিবাদী নং ০৩। মোঃ সেলিম (৩৫),পিতা- মৃদ রশিদ, বিবাদী নং ০৪। মোঃ বাপ্পি (২৮), পিতা- মোঃ আবুল হোসেন, বিবাদী নং ০৫। মোঃ রকি (৩৬), পিতা- মোঃ আব্দুল আজিজ, বিবাদী নং ০৬। মোঃ তুষার (২৩) পিতা- মোঃ আবুল কাশেম, বিবাদী নং ০৭। অপু (৩৬), পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- পূর্ব টেংরী আমবাগান, থানা- ঈশ্বরদী, জেলা- পাবনাসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন আমার ঈশ্বরদী থানাধীন নাজিম উদ্দিন স্কুলের সামনে মুদি দোকানে বে-আইনি দল বদ্ধ হইয়া ও দেশিও অস্ত্রসস্ত্রে নিয়ে আমার দোকানে আসিয়া বিবাদী ০১ মোঃসম্রাট আমাকে বলে যে, তুই দোকান খুলেছিস কেনো তোকে তো দোকান বন্ধ রাখতে বলেছি। আমি কেনো দোকান বন্ধ রাখব জানতে চাওয়া মাত্র উক্ত ১ ও ৭ নং বিবাদী আমার দোকানে মালামাল ভাংচুর করে দোকান বন্ধ করে দেয়।

আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাইতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। পরবর্তীতে একইদিন উক্ত ঘটানাকে কেন্দ্র করিয়া আনুমানিক সময় ৭:৩০ ঘটিকার সময় উক্ত সকল বিবাদীগন আমার বাড়িতে আমাকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে বলে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে।

আমার মা মোছাঃ আইমালা বেগম (৫৫), গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে এবং কি হয়েছে জানতে চাওয়া মাত্র উক্ত সকল বিবাদীগন জোর করে অনাধিকার ভাবে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বিবাদী নং ০১। মোঃ সম্রাট ও বিবাদী ০২। খোকন আমার ঘরে ভেতরে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর শুরু করে এবং আমার ঘরের ওয়াড্রবের ড্রয়ারে থাকা গরু বিক্রয় করা নগদ ২,২০,২০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা এবং আলমারিতে থাকা সাত ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা বের করে নিয়ে যায়।

আমার মা বাধা দিতে আসিলে বিবাদী নং ০৩। মোঃ সেলিম আমার মাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এমন সময় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ চাঁদনী (২২) আমার মাকে ঠেকাইতে আসিলে বিবাদী নং ৪ ও ৫ আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে চড় থাপ্পড় কিল ঘুষি মারিতে থাকে এতে আমার ভায়ের স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা কালশীরা জখম হয়।

আমার মা ও আমার ভায়ের স্ত্রী প্রাণ বাঁচাইতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করিলে আশে পাশের লোকজন জড় হইলে উক্ত বিবাদীগন আমাদের উদ্দেশ্যে করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটানাস্থলে আমার মা ও আমার ছোট ভায়ের স্ত্রী শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থত হইলে ঈশ্বরদী সদর হাসপাতালে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিসৎক আমার মা ও ভায়ের স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। উপরোক্ত ঘটনার সাক্ষী নং ১। মোঃ রানা (২৭), পিতা- মোঃ নজরুল, ০২। মোছাঃ জরিনা বেগম (৬৫),স্বামীঃ- মৃত ফজালুর রহমান, উভয় সাং- ফতেমোহাম্মদপুর, ডাকঘর- ঈশ্বরদী, থানা- ঈশ্বরদী, জেলা- পাবনা, সহ আরো অনেকেই অবগত হইয়াছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, জুয়েলের ভাইয়ের বাড়িতে হামলা, ভাংচুরের ঘটনায় জনি আলী শেখ থানায় একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com